মানুষ জীবনে সফল হতে চায়, কিন্তু অনেকেই তা হতে পারে না। কেন এমন হয়? সফল ব্যক্তিরা অন্যদের থেকে আলাদা কোন অভ্যাসগুলো মেনে চলেন, যা তাদের অন্যদের থেকে আলাদা করে? যারা অন্যদের চেয়ে বেশি সফল তারা কিছু অভ্যাস অনুসরণ করে। এই সহজ অভ্যাসগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাত থেকে শুরু হয়। যা তাদের পরের দিনের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, রাতের কোন কাজগুলো আপনাকে সফল করবে-
পরিকল্পনা করুন
ঘুমাতে যাওয়ার আগে আপনার পরের দিনের পরিকল্পনা করার জন্য ৫-১০ মিনিট সময় নিন। এটি সহজ উপায়ে করা যেতে পারে – যেমন পরের দিনের জন্য আপনার শীর্ষ তিনটি অগ্রাধিকার লিখে রাখা, গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময়সূচী করা, পরের দিনের জন্য আপনার পোশাক নির্বাচন করা, খাবার প্রস্তুত করা ইত্যাদি। এই ছোট্ট অভ্যাস সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চাপ কমাবে এবং মস্তিষ্ককে কী করবেন তার স্পষ্ট দিকনির্দেশনা দেবে।
ঘুমানোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে স্ক্রিন অফ করুন
ফোন স্ক্রোল করতে করতে ঘুমিয়ে পড়া স্বাস্থ্যকর উপায় নয়। ঘুমানোর ঠিক আগে খুব বেশি সময় স্ক্রিনে কাটালে তা মেলাটোনিনের মাত্রাকে নষ্ট করে দেয় এবং ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে। এটি ঘুমের মানকে প্রভাবিত করে। ঘুমানোর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে আপনার ফোনটি দূরে রাখার চেষ্টা করুন। এই সময় বই কিংবা জার্নাল পড়ার জন্য ব্যবহার করুন অথবা চুপচাপ শুয়ে থাকুন। এটি আপনাকে গভীর ঘুমে সহায়তা করবে।
প্রিয়জনের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম
প্রিয়জনের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম কাটালে তা সুস্থ বন্ধন তৈরিতে সহায়তা করে। ভালো সম্পর্ক জীবনের মানকে প্রভাবিত করে। ক্লান্তিকর দিনের শেষে প্রিয়জনের সঙ্গে মন খুলে কথা বলার এই সহজ অভ্যাস আপনাকে মানসিক চাপ কমাতে, আরাম করতে এবং সামগ্রিক সুখ বাড়াতে সাহায্য করবে। মানসিকভাবে শান্তিতে থাকলে উদ্যমী হয়ে জেগে উঠতেও পারবেন।
বিশ্রাম নিন
শরীরকে বিশ্রামের জন্য সময় দিন। কেবল কাজের পেছনে ছুটবেন না। মনে রাখবেন, সফল হওয়ার জন্য কাজের পাশাপাশি বিশ্রামও জরুরি। এর মধ্যে স্ট্রেচিং, ধ্যান, ধীর কোনো সঙ্গীত শোনা, এমনকী ভেষজ চা পান করতে পারেন। নিয়মিত বিশ্রাম উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করে, ঘুমের মান উন্নত করে এবং দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া সহজ করে তোলে। এবং আপনি যত ভালো ঘুমাবেন, পরের দিন তত বেশি কাজে মনোযোগী হতে পারবেন।
খুলনা গেজেট/এএজে